"আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের 'উদযাপনে' নেত্রকোনায় গরু জবাই, বিরিয়ানি বিতরণ – মাদানীর বক্তব্যে উত্তাপ"
৫ মে'র জবাই-উদযাপনের জবাব?" শিশু বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীর পাল্টা 'ভূরিভোজ', সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্ক
ঘটনার বিস্তারিত:
নেত্রকোনার পূর্বধলায় আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়াকে "ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত" আখ্যা দিয়ে গরু জবাই করে বিরিয়ানি বিতরণ করেছেন বিতর্কিত শিশু বক্তা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী। রোববার (তারিখ) সন্ধ্যায় লেটিরকান্দা মাদ্রাসার সামনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে ১৫০ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্থানীয়দের অংশগ্রহণ ছিল।
মাদানীর দাবি ও বক্তব্য:
ফেসবুক পোস্টে ঘোষণা: শনিবার রাতে তিনি লিখেন, "২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজত কর্মীদের ওপর গুলি চালিয়ে পরদিন আওয়ামী লীগ গরু জবাই করে 'উদযাপন' করেছিল। আজ তাদের নিষিদ্ধ হওয়ায় আমরাও একটি গরু জবাই দিলাম।"
সরকারকে 'ধন্যবাদ': মাদানী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "খুনি আওয়ামী লীগের কার্যক্রম বন্ধ করায় সরকারকে ধন্যবাদ। কিন্তু শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার করে ফাঁসি দিতে হবে।"
প্রতিক্রিয়া ও বিতর্ক:
স্থানীয়দের মিশ্র প্রতিক্রিয়া: কিছু মানুষ এটিকে "ধর্মীয় আনন্দ" বলে দেখলেও অন্যরা একে রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সামাজিক মাধ্যম উত্তপ্ত: #মাদানী_বিরিয়ানি ট্রেন্ড করতে শুরু করেছে, একপক্ষ এটিকে "প্রতিবাদের ভাষা" বলছে, অন্যপক্ষ ঘৃণা ও বিভেদের প্রচারণা বলে অভিযোগ করছে।
আওয়ামী লীগের ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট:
২০১৩ সালের হেফাজত-আন্দোলন: হেফাজতের সমাবেশে পুলিশের গুলিতে নিহতদের স্মরণে আওয়ামী লীগের কিছু নেতা গরু জবাই করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে (যা দলটি অস্বীকার করে)।
নিষিদ্ধের কারণ: আদালতের রায়ে দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ হলেও দলটি এখনও আবেদন করার সুযোগ পাবে।
কোন মন্তব্য নেই